প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

বিংশ শতাব্দির ২য় দশকের মধ্যভাগে ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব জনাব বিশ্বেশ্বর বিশ্বাস এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় দৈবজ্ঞহাটী বিশ্বেশ্বর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পরবর্তীতে ২৭ জুলাই ১৯৩২ খ্রিঃ তারিখে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্থায়ীভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়ে অদ্যবধি সুনামের সাথে খাজা খানজাহান আলীর পূণ্য ভুমি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলাধীন সাধারণ মানুষের অন্যতম শিক্ষাঙ্গন হিসাবে চলমান আছে। প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মাখন লাল দাসগুপ্ত।।

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর মন্ত্রীসভার তৎকালীন যোগযোগ, কৃষি, তথ্য এবং ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে দক্ষিণ বাংলার বরেণ্য নেতা জনাব শেখ আবদুল আজিজ মহোদয়-এর একান্ত প্রচেষ্টায় ২৫০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা এককালীন বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একতলা ভবন নির্মানের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান, মানবিক এবং বানিজ্য বিভাগের সাথে কম্পিউটার, কৃষি শিক্ষা এবং ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতে শ্রেণি শাখা চালু আছে। দক্ষ এবং মানসম্মত শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত অত্র বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর-এর অধীনে S.SC ও JSC পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে নির্ধারিত। ।

 

বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে সাত শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী পড়ালেখা করে। উপজেলা পর্যায়ে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং একাধিকবার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। S.S.C এবং JSC পরীক্ষায় সর্বদা বোর্ড-এর শতকরা হিসাবের উপরে এবং অধিকাংশ সময় শতভাগ কৃতকার্যের কৃতিত্ব অর্জন করে আসছে । বিদ্যালটিতে পরিপাটি বিজ্ঞানাগার, সমৃদ্ধ পাঠাগার সহ সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম চালু এবং সক্রিয় থাকার পাশাপাশি স্কাউটিং, গার্লস গাইড এবং খেলাধুলায় ধারাবাহিক ভাবে বিদ্যালয়র সুনাম অক্ষুন্ন এবং অব্যাহত রেখেছে। বর্তমান বাগেরহাট-০৪ আসনের সংসদ সদস্য জনাব মোঃ আমিরুল আলম মিলন (এ্যাডভোকেট) মহোদয় সার্বক্ষনিক বিদ্যালয়টির উন্নয়নে সচেষ্ট আছেন। শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের অনুপ্রেরণা পেলে ভবিষ্যতে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস । ।